Stock News 24

Fresh from BPL T20 Cricket

Sunday, 30 January 2011

সাক্ষাৎকার - বসার জায়গা ঠিক না হলেও কাজ থেমে থাকবে না - খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ

সাক্ষাৎকার - বসার জায়গা ঠিক না হলেও কাজ থেমে থাকবে না - খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ

পুঁজিবাজারে সংঘটিত কারসাজি তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির বসার জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত হয়নি। তাই বলে আমাদের কাজ থেমে থাকবে না। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দেবো।’

রোববার কৃষিব্যাংকে নিজ কার্যালয়ে বসে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কমিটির চেয়ারম্যান কৃষিব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী চিঠিতে বলেছিলেন, এসইসি আমাদের অফিসের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। তারা না করলে এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। প্রয়োজনে বিকল্প বসার জায়গা হিসেবে কৃষিব্যাংক অথবা বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিসও ব্যবহার করতে পারি।’

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ওই সময়গুলোতে এসইসি, ডিএসই ও সিএসইর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রমেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে তাদের মতামত নেওয়া হবে। বিশেষ করে, এসইসি সম্প্রতি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই সময় বাজারে সেগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন শেয়ার কেন অতিমূল্যায়িত হলো, তা ডিএসই ও সিএসইর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইব। বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাপারে তথ্য নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও বৈঠক করবো। বিশেষ করে যেসব ব্যাংক তাদের আমানতের চেয়ে বেশি অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে।’

এছাড়া কোন কোন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারেরর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়েও খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, পুঁজিবাজারের বিশ্লেষক ছাড়াও এবি মির্জ্জা আজিজুল হক, ফারুক আহমেদ সিদ্দিকীসহ সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবে তদন্ত কমিটি।

News Source: BanglaNews24

মুদ্রানীতি ঘোষণা, মূল্যস্ফীতি হবে ৭ শতাংশ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাড়ে ৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির কথা বললেও তা ৭ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার দুপুরে জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ আশঙ্কার কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ মুদ্রানীতি হবে সঙ্কুলানমুখী।

রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, "গত অর্থবছর সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈরি আবহাওয়ার কারণে খাদ্যমূল্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অন্যদিকে বিকাশমান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার আশাতীত হওয়ার কারণে জ্বালানি ও খাদ্য বহির্ভূত শিল্পপণ্যের মূল্যও বাড়ন্ত। এই প্রেক্ষাপটে ১২ মাসের মূল্যস্ফীতি অর্থবছরের দ্বিতীয়র্ধে এসে খুব দ্রুত হারে কমবে বলে মনে হয় না।"

"তাই সরকারের বাজেটে প্রত্যাশিত গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্রায় নেমে আসার সম্ভাবনা কম। বরং এই হার জুন এর দিকে ৭ শতাংশের আশেপাশে রয়ে যাবে বলে আশঙ্কা হয়," যোগ করেন তিনি।

গভর্নর জানান, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রিজার্ভ মানি, ব্রড মানি ও অ্যভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল এবারও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

গত মুদ্রানীতিতে রিজার্ভ মানির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রা ধরেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে গত নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভ মানিতে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ২২ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা এই মুদ্রানীতিকে 'সঙ্কুলানমুখী' (অ্যাকোমোডেটিভ) অভিহিত করে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনমতো মুদ্রার জোগান দিয়ে যাবে।"

নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়, 'চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে মুদ্রানীতির ভঙ্গিটি প্রথমার্ধের মতোই উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহায়ক থাকবে।'

'তবে অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি রোধের জন্য অপচয়ী অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংক ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করার দিকে তীক্ষè নজর রাখা হবে।'
News Source: BDNews24

পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত ॥ ৪ দিনে সূচক বেড়েছে ১২৪৬ পয়েন্ট #dse

পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত ॥ ৪ দিনে সূচক বেড়েছে ১২৪৬ পয়েন্ট

টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধবগতি অব্যাহত রয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই‘র সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ৭৫৭২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ নিয়ে গত চার কার্যদিবসে সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে এক হাজার ২৪৬ পয়েন্ট।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিরামিকস খাতের সব শেয়ারের দাম বেড়েছে।

এছাড়াও এদিন প্রকৌশল, বীমা, সিমেন্ট ও টেক্সটাইল খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মতো।

গত চার দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধবগতি থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। এখনো অধিকাংশ বিনিয়োগকারী লোকসানের মধ্যে থাকলেও বাজারের বর্তমান অবস্থাকে স্বাভাবিক হিসেবেই মনে করছেন।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা প্রতিদিন দাম বাড়াকে স্বাভাবিক মনে না করলেও বড় ধরনের দরপতনের কারণে বাজার কিছুটা ঊর্ধবমুখীতার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন।

তাদের মতে ধারবাহিক দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমান বিনিয়োগকারীরা সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।

এ ব্যাপারে ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন শেয়ারের দাম কমে যাওয়া যেমন ঠিক না, তেমনি বাড়াও ঠিক না। যেহেতু বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছিল, তাই বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এটা প্রয়োজন ছিল।

তবে বিনিয়োগকারীদের অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এদিন ডিএসই’তে এক হাজার দ্ইু কোটি দুই লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে।

এটি আগের দিনের চেয়ে ২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা কম। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৬১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৫ টির এবং কমেছে ৩৩ টি অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটির দাম।

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো- ইউসিবিএল, ন্যাশনাল ব্যাংক, বে-লিজিং, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফোন, পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, ম্যাকসন স্পিনিং, বেক্সিমকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
News Source: bangla news

#dse আইন ভঙ্গ করে ১৬৫০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি বেক্সিমকোর

সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করে ঘোষণা ছাড়াই ১৬৫০ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ৩০ দিনের আগাম ঘোষণার বিধান রয়েছে। কিন্তু বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো টেক্সটাইল (বেক্সটেক্স), বেক্সিমকো ফার্মা ও বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরিচালকরা গত দেড় বছরে প্রায় ১৬৫০ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করলেও স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেয়নি। এটি সিকিউরিটিজ আইনে অপরাধ হলেও এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত মাসিক রিভিউ ও ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা যায়, ২০০৯ সালের মে মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পরিচালকদের শেয়ার ৩৯.৪৭ শতাংশ থাকলেও ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ২০.১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ উক্ত সময়ের মধ্যে ১৯.৩২ শতাংশ শেয়ার বেক্সটেক্সের পরিচালকরা বিক্রি করেছেন। উল্লিখিত সময়ে শেয়ারের গড় মূল্য ৮৩ টাকা অনুযায়ী প্রায় ৭৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার পরিচালকরা বিক্রি করেছেন। কিন্তু ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেখা যায়নি। ২০০৯ সালের মে মাসে বেক্সিমকো ফার্মার পরিচালকদের শেয়ার ২০.৬৩ শতাংশ থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১০.৯১ শতাংশে নেমে এসেছে। এ সময়ে এ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাদের হাতে থাকা ৯.৫৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। শেয়ারের গড় মূল্য অনুযায়ী শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এ কোম্পানির পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও স্পন্সর শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। একই সময়ের মধ্যে বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার ২৪.৮৮ থেকে ২১.২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালকরা বাজার থেকে প্রায় ২১১ কোটি টাকা তুলেছেন। একই সময়ে বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরিচালকরা ৬.৩২ শতাংশ শেয়ার প্রায় ২০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। এসব শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রেও কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
অপরদিকে স্পন্সর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো কোনো আগাম ঘোষণা না দিলেও শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে উলি্লখিত সময়ে বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০০৯ সালে জুলাই মাসে বেক্সিমকো লিমিটেড কর্তৃক জিএমজি এয়ারলাইন্সের ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়, আগস্টে বাংলাদেশ অনলাইন অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় বেক্সিমকো। এছাড়া ২০১০ সালের জুন মাসে ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টের ১৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও জুলাই মাসে ঢাকা সাংহাই সিরামিক অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া গত বছরের আগস্ট মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইল কর্তৃক নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেডের ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়া হয়। এসব ঘোষণার মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়ানোর সুযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকরা ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, এভাবে স্পন্সর শেয়ার বিক্রি সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থি। এ ধরনের কিছু হয়ে থাকলে এসইসি ও ডিএসই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
News Source: http://www.sheershanews.com

Friday, 28 January 2011

সহযোগী কম্পানির ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব সামিট গ্রুপের

সহযোগী কম্পানির ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব সামিট গ্রুপের
পুঁজিবাজারে সহযোগী চার কম্পানির শেয়ার কিনতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমতি চেয়েছে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন (এসআইএমসি)।
বর্তমান বাজার দরে চারটি সহযোগী কম্পানির মোট ১৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে কম্পানিটি। গত ২৩ জানুয়ারি সামিট মার্কেন্টাইল করপোরেশনের পক্ষ থেকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এসইসি এবং দুই স্টক এঙ্চেঞ্জে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠিতে সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড এবং ওশেন কনটেইনার্স লিমিটেডের শেয়ার কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সামিট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরিদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাজারের টানা দরপতন ঠেকাতে নিজেদের সহযোগী কম্পানির শেয়ার কেনার প্রস্তাব এসইসিকে দিয়েছি।'

News Source: KalerKonto

পুঁজিবাজার পতন : কিছু প্রশ্ন - very interesting writing

পুঁজিবাজার পতন : কিছু প্রশ্নখোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
আমি পুঁজিবাজারের ক্রেতা, বিক্রেতা বা ব্রোকার কোনোটাই নই। বলা যায় সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি একজন দর্শক মাত্র। সেই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা-দালালদের কথাবার্তা কানে আসে। মেলাতে চেষ্টা করি। এই হলো আমার লেখার উপাদান। প্রশ্ন হতে পারে, শোনা কথা লিখছি কেন? জবাবে মনে পড়ছে বাংলা প্রবাদ 'যা রটে, তার কিছু তো বটে।' আর দর্শক হিসেবে যা মনে হয়েছে, তা প্রকাশ করা নৈতিক দায়িত্ব। সত্যতা না থাকলে হারিয়ে যাবে। সত্য হলে সচেতনতা বাড়বে।
২০১০ সালে দুইবার বড় রকমের জোয়ার এসেছিল শেয়ারবাজারে। শেষটা ছিল সেপ্টেম্বরে। এর আগে থেকেই সাংবাদিকরা সাবধানধ্বনি উচ্চারণ করেছিলেন। মনে পড়ে, একজন অভিজ্ঞ অর্থনৈতিক সাংবাদিক একদিন দুপুরে আমার সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা উৎকণ্ঠা নিয়ে আলাপ করছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পুঁজিবাজার উল্লম্ফনটি ভয়ংকর অস্বাভাবিক। পতন হলে আরেকটি ছিয়ানব্বই হবে। আমি অনুরোধ করেছিলাম পতনের দুঃস্বপ্নটি না দেখিয়ে সাংবাদিকদের উচিত শোধরানোর উপায় বাতলানো এবং আস্থা বিনষ্ট না করা। সাংবাদিক কথা রেখেছিলেন। আমিও কথা রেখেছিলাম। উৎকণ্ঠাটি বারবার টক-শোসহ বিভিন্ন আলোচনায় প্রকাশ করেছি। কিন্তু কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গ হয়নি, যদিও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাখ লাখ মানুষের।
মার্কেটিং তত্ত্বেও 'বাজার' বলতে যা বোঝায়, পুঁজিবাজার তেমন নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। এটি একটি ফটকা কারবার। 'বাজার' ব্যাখ্যা করা যায়। ফটকা কারবার ব্যাখ্যা করা যায় না। কেন ১০০ টাকার শেয়ার ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যদিও কম্পানিটি অচল। এর ব্যাখ্যা কি বাজার অর্থনীতিতে মিলবে? সে জন্যই এটা বাজার নয়। জুয়া খেলা। তবে সংগঠিত বিদেশি পুঁজিবাজার সম্পর্কে এ কথা প্রযোজ্য নয়। সেখানেও জোয়ার-ভাটা আছে, যা মোটামুটি ব্যাখ্যাযোগ্য।
ঢাকা শেয়ারবাজারে সেপ্টেম্বর উল্লম্ফনের পর টক-শোতে বলেছিলাম (যা পরেও বলেছি) যে একটা দুষ্টু ছেলে বিরাট আমগাছটার কচি আগডালে উঠে গেলে,হয় সে ডাল ভেঙে ধপাস করে মাটিতে পড়ে হাত-পা ভেঙে ফেলবে, নচেৎ ধীরে ধীরে সাবধানে নেমে আসবে। নামতে তাকে হবেই। টক-শোতে অনুরোধ করেছিলাম, অন্ততপক্ষে সাবধানতার সঙ্গে ধীরে ধীরে নামতে সবাই যেন সহযোগিতা করেন। নামার কোনো বিকল্প নেই। কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে মন্তব্য করেছিলেন, 'বুলিশ মার্কেটে' এমনটা হয়েই থাকে, চিন্তার কিছু নেই। ধারণাটা যে কতটা 'ফুলিশ' ছিল, অনেক দণ্ড দিয়ে তা বুঝতে হলো। একটি সম্ভাবনাময় শেয়ারবাজার গড়ে উঠেছিল। শত শত শিক্ষিত বেকার স্বনিয়োজিত হয়েছিলেন। কর্মসংস্থানের একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছিল। জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের চক্রান্তে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতায় (সহায়তায়?) লাখ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কর্মচ্যুত হলো অনেক যুবক। ভাবতে অবাক লাগে, এত সবের পর একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী (যিনি সজ্জন ব্যক্তিও বটে) সাংবাদিকদের কাছে বললেন, শেয়ারবাজার পতনে সরকারের কিছু আসে যায় না! 'ওয়েট অ্যান্ড সি'_এ ধরনের মন্তব্য করাই কি তার পক্ষে শোভন হতো না?
ঘুরেফিরে যে কথাটি বারবার কানে আসছে, তা হলো সেপ্টেম্বর ২০০৯ থেকে গত চার মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা, নাকি আনহোলি অ্যালায়েন্সের একটি সিন্ডিকেট মেরে দিয়েছে। সিন্ডিকেটের মূল সদস্যসংখ্যা নাকি দেড় থেকে দুই ডজনের বেশি নয়। তবে বিও অ্যাকাউন্ট গণনা করলে, সহযোগী ও বেনামিসহ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। মূল খেলোয়াড়রা নাকি বেশির ভাগ বিএনপি ঘরানার, যদিও পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন আওয়ামী ঘরানার ব্যক্তিরা। সংসদে দেখা-সাক্ষাৎ না হলেও পুঁজিবাজারে হরিহর আত্মা। বুঝহ সেজন, যেজন জানো হে সন্ধান।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন আছে। বিধিবিধান আছে। আছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, সিকিউরিটি অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন। শোনা যায়, নিয়ন্ত্রক নাকি নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে! তাও নাকি সিন্ডিকেটের হাতে! সবাই তো সরকারকে দোষারোপ করছে। সরকার কোনো ব্যক্তি নয়। সরকার চলে বিভিন্ন বিধিবদ্ধ সংস্থার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ সংস্থা দায় এড়াবে কিভাবে? সরকার কি অ্যাকাউন্টিবিলিটি নিশ্চিত করবে? কমিশন কি পুনর্গঠিত হবে?
বাতাসে অনেক কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। কিছু কিছু কথা তুলে ধরছি, কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করছি। দেখা যাক, সরকার ক্রিয়াশীল না ভাবলেশহীন! নাকি প্রতিক্রিয়াশীল!
একটি মুখরোচক রটনা হলো এই যে সিন্ডিকেটের বেশির ভাগ সদস্য বিএনপিপন্থী। আওয়ামীদের নেতৃত্বে তারা কাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। পুঁজি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহযোগিতায়। উদ্দেশ্য দুটি। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া গেল। একই সঙ্গে মহাজোট সরকারকে একহাত দেখিয়ে দেওয়া হলো। এক ঢিলে দুই পাখি শিকার! রটনাটি কিন্তু পরীক্ষাযোগ্য। তদন্ত করে নামে-বেনামে কারা অধিক উপার্জন করেছে, তার তালিকা বের করা সম্ভব। তাদের রাজনৈতিক রংও নির্ণয় করা সহজ। সিন্ডিকেটের আওয়ামী সদস্যদের চিহ্নিত করাও কঠিন নয়। সরকারের কোনো কোনো ক্ষমতাশালীর মাধ্যমে তারা বাধাহীনভাবে লুটতরাজ ঘটিয়ে চলেছিল, তাও উচ্চপর্যায় থেকে শনাক্ত করা যায়। কারণ কিছু কিছু সিদ্ধান্ত ওপর থেকে হয়ে থাকে। ওই সব সিদ্ধান্তের তদবিরে কারা ছিলেন, সেটি যাচাই করলেই আলামত পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন কঠিন সদিচ্ছা এবং আত্মসংশোধনের অঙ্গীকার।
দু-একটি বাজারের রটনা তুলে ধরা যাক। কোনো ইঙ্গিত মেলে কি না দেখার জন্য। প্রথমেই আসা যাক সিকিউরিটি অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের একজন বহুল আলোচিত মেম্বারের বিষয় নিয়ে। শোনা যায়, তাঁকে নাকি এখন 'নিষ্ক্রিয়' করা হয়েছে। আবার এও শোনা যায়, তিনি নাকি পদত্যাগ করেছেন। এই সদস্যের বিষয়ে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে, মেসেজ পেঁৗছে যেত এবং অনেক অঘটন হয়তো ঘটত না। এই সদস্যকে 'মেম্বার' হিসেবে প্রথম টার্ম শেষ করার পর দ্বিতীয় টার্মের জন্য পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কয়েক মাস আগে। তখন শুনেছিলাম, ওই সদস্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চুক্তিপত্র সই না করেই তিন বছর চাকরি করেছেন, যা চাকরিবিধি অনুযায়ী একটি অনিয়ম। পুনর্নিয়োগের আগেই ওই সদস্য সম্পর্কে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সতর্কবাণী পেঁৗছানো হয়েছিল মর্মে আমি নিশ্চিত হয়েছি। তা সত্ত্বেও (এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি সত্ত্বেও) সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাঁর পুনর্নিয়োগ মঞ্জুর হয়ে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, কোন কোন ক্ষমতাশালী সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি ওই সদস্যের পুনর্নিয়োগে অবদান রেখেছিলেন, তা আপনার ও সরকারের স্বার্থে তদন্ত করে দেখুন। কালো বিড়াল চিহ্নিত করার জন্য এটি একটি ইঙ্গিত।
বাতাসে আরো একটি কথা ভাসছে। রটনাটি আদৌ সত্য হলে তথ্যটি ভয়ংকর। শোনা যায়, সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা নাকি উচ্চপর্যায়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের কোনো এক নির্বাহীর বিষয়ে সর্বৈব মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে ঘোলা জলে মৎস্য শিকার করতে চেয়েছিল। পর্যালোচনায় ধরা খেয়ে যাওয়ায় সংস্থাটি বোকা বনে গেছে। সত্যি এমন কিছু ঘটে থাকলে, বিষয়টি ওখানেই থেমে যাওয়া উচিত। কার স্বার্থে, কিসের বিনিময়ে এবং কোন কর্মকর্তা মিথ্যা রিপোর্ট প্রদানের সাহস পেল, সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। তা না হলে, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য সরবরাহ অক্ষুণ্ন থাকবে, যা রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের জন্য ক্ষতিকর।
আরো একটি কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে বেশ কয়েক মাস যাবৎ। আগে ঘুষের কথা শোনা যেত। কিন্তু তা নয়। এখন শোনা যাচ্ছে, সিন্ডিকেট নাকি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের ছোট, মাঝারি, বড় চাকুরেদের শেয়ার (হালাল ঘুষ?) খাইয়েছে। সিন্ডিকেটই দাম ওঠা-নামা করায়। সে প্রক্রিয়ায় এসব 'গরিবদের' দুই পয়সা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। আইপিওতে লাভ ভালো। সেগুলো ভাগযোগ করে দেওয়া এসব সহায়কদের মাঝে। ইন্টেলিজেন্সের ইনফরমাররাও বাদ যাবেন কেন? অবৈধ কিছু তো নয়। শেয়ার ব্যবসা তো একেবারেই হালাল। অনায়াস লাভে ইনফর্মারের ইনফরমেশন পাল্টে গেলে অঘটন ঘটে যেতে পারে। সংবেদনশীল পদে নিয়োজিতদের (ছোট-বড় সবাই) শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা উচিত কি না, তা নির্ধারণ করার ভার রাষ্ট্রের। তবে আমার পেশা জীবনের একটি তথ্য পেশ করতে পারি। পাকিস্তান আমলে করাচিতে তৎকালীন বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হাবিব ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করেছিলাম প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে। অনেক ফরম, নিয়মাবলি ও অঙ্গীকারনামায় দস্তখত করতে হয়েছিল চাকরিতে যোগদানকালে। তার মধ্যে একটি অঙ্গীকারনামায় ছিল শেয়ারবাজার সম্পর্কে। অঙ্গীকার করতে হয়েছিল, 'ব্যাংকে চাকরিরত অবস্থায় আমি পুঁজিবাজারে বা অন্য কোনোভাবে কোনো কম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করব না, করতে সাহায্য করব না, এমনকি তেজি-মন্দা বিবেচনায় নামে-বেনামে বা কোনোভাবে অর্থ বিনিয়োগ করব না।' ব্যাংকারদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে তখনো কোনো আইনি বাধা ছিল না। কিন্তু নৈতিকতাবিরোধী বিবেচিত বিধায় অঙ্গীকারনামা নেওয়া হতো। সেই থেকে আমি কোনো দিন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করিনি দীর্ঘ ব্যাংকার জীবনে। শেয়ার নামীয় জুয়া খেলার ব্যাপারে সরকার কি সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবে? বিধিনিষেধ অর্পণ করবে? বাংলাদেশ ব্যাংকের দু-চারজন কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে খেলা খেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজে ও সুনামে কেমন কালিমা লেপন করেছিলেন, সরকার ইচ্ছা করলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দুটি শব্দ অনেকবার উচ্চারণ করেছেন। প্রকাশ্যে এবং নিভৃতে। শব্দ দুটি ছিল 'আত্মসমালোচনা' ও 'আত্মসংশোধন'। সে উদ্দেশ্যেই এ লেখাটি। বলা হতে পারে, এতই যদি শুভাকাঙ্ক্ষী, তাহলে প্রকাশ্যে না লিখে গোপনে বললেই হতো। হলে ভালো হতো। হয়নি। গোপনে এবং নিম্নকণ্ঠে অনেক বলেছি। কেউ কর্ণপাত করেনি। তাই 'ঘা দিয়ে জাগাতে' চাচ্ছি। মাত্র বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। দুরাচার, যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতাবিরোধীদের বিচার শুরুই হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের অনেক অর্জন নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে এ সরকার। অনেক কাজ বাকি। তাই মুক্তিযুদ্ধের মহাজোটকে আফিম খাইয়ে ঘুমপাড়ানি গান যারা শোনায় তাদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ঘা দিয়ে জাগিয়ে তোলা সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব।
২৩ জানুয়ারি ২০১১

লেখক : সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বর্তমানে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান
News Source: KalerKonto

Latest from BPL ground