সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করে ঘোষণা ছাড়াই ১৬৫০ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ৩০ দিনের আগাম ঘোষণার বিধান রয়েছে। কিন্তু বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো টেক্সটাইল (বেক্সটেক্স), বেক্সিমকো ফার্মা ও বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরিচালকরা গত দেড় বছরে প্রায় ১৬৫০ কোটি টাকার স্পন্সর শেয়ার বিক্রি করলেও স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেয়নি। এটি সিকিউরিটিজ আইনে অপরাধ হলেও এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত মাসিক রিভিউ ও ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা যায়, ২০০৯ সালের মে মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পরিচালকদের শেয়ার ৩৯.৪৭ শতাংশ থাকলেও ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ২০.১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ উক্ত সময়ের মধ্যে ১৯.৩২ শতাংশ শেয়ার বেক্সটেক্সের পরিচালকরা বিক্রি করেছেন। উল্লিখিত সময়ে শেয়ারের গড় মূল্য ৮৩ টাকা অনুযায়ী প্রায় ৭৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার পরিচালকরা বিক্রি করেছেন। কিন্তু ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেখা যায়নি। ২০০৯ সালের মে মাসে বেক্সিমকো ফার্মার পরিচালকদের শেয়ার ২০.৬৩ শতাংশ থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১০.৯১ শতাংশে নেমে এসেছে। এ সময়ে এ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাদের হাতে থাকা ৯.৫৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। শেয়ারের গড় মূল্য অনুযায়ী শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এ কোম্পানির পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৬৮৩ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও স্পন্সর শেয়ার বিক্রির কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। একই সময়ের মধ্যে বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালকদের শেয়ার ২৪.৮৮ থেকে ২১.২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালকরা বাজার থেকে প্রায় ২১১ কোটি টাকা তুলেছেন। একই সময়ে বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরিচালকরা ৬.৩২ শতাংশ শেয়ার প্রায় ২০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। এসব শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রেও কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
অপরদিকে স্পন্সর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো কোনো আগাম ঘোষণা না দিলেও শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে উলি্লখিত সময়ে বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০০৯ সালে জুলাই মাসে বেক্সিমকো লিমিটেড কর্তৃক জিএমজি এয়ারলাইন্সের ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়, আগস্টে বাংলাদেশ অনলাইন অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় বেক্সিমকো। এছাড়া ২০১০ সালের জুন মাসে ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টের ১৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও জুলাই মাসে ঢাকা সাংহাই সিরামিক অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া গত বছরের আগস্ট মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইল কর্তৃক নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেডের ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়া হয়। এসব ঘোষণার মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়ানোর সুযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকরা ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, এভাবে স্পন্সর শেয়ার বিক্রি সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থি। এ ধরনের কিছু হয়ে থাকলে এসইসি ও ডিএসই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
News Source: http://www.sheershanews.com
অপরদিকে স্পন্সর শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো কোনো আগাম ঘোষণা না দিলেও শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে উলি্লখিত সময়ে বিভিন্ন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০০৯ সালে জুলাই মাসে বেক্সিমকো লিমিটেড কর্তৃক জিএমজি এয়ারলাইন্সের ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয়, আগস্টে বাংলাদেশ অনলাইন অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় বেক্সিমকো। এছাড়া ২০১০ সালের জুন মাসে ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টের ১৬০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও জুলাই মাসে ঢাকা সাংহাই সিরামিক অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া গত বছরের আগস্ট মাসে বেক্সিমকো টেক্সটাইল কর্তৃক নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেডের ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়া হয়। এসব ঘোষণার মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়ানোর সুযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকরা ঘোষণা ছাড়াই শেয়ার বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, এভাবে স্পন্সর শেয়ার বিক্রি সিকিউরিটিজ আইনের পরিপন্থি। এ ধরনের কিছু হয়ে থাকলে এসইসি ও ডিএসই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।