সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাড়ে ৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির কথা বললেও তা ৭ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার দুপুরে জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ আশঙ্কার কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ মুদ্রানীতি হবে সঙ্কুলানমুখী।
রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, "গত অর্থবছর সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈরি আবহাওয়ার কারণে খাদ্যমূল্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অন্যদিকে বিকাশমান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার আশাতীত হওয়ার কারণে জ্বালানি ও খাদ্য বহির্ভূত শিল্পপণ্যের মূল্যও বাড়ন্ত। এই প্রেক্ষাপটে ১২ মাসের মূল্যস্ফীতি অর্থবছরের দ্বিতীয়র্ধে এসে খুব দ্রুত হারে কমবে বলে মনে হয় না।"
"তাই সরকারের বাজেটে প্রত্যাশিত গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্রায় নেমে আসার সম্ভাবনা কম। বরং এই হার জুন এর দিকে ৭ শতাংশের আশেপাশে রয়ে যাবে বলে আশঙ্কা হয়," যোগ করেন তিনি।
গভর্নর জানান, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রিজার্ভ মানি, ব্রড মানি ও অ্যভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল এবারও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত মুদ্রানীতিতে রিজার্ভ মানির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রা ধরেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে গত নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভ মানিতে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ২২ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা এই মুদ্রানীতিকে 'সঙ্কুলানমুখী' (অ্যাকোমোডেটিভ) অভিহিত করে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনমতো মুদ্রার জোগান দিয়ে যাবে।"
নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়, 'চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে মুদ্রানীতির ভঙ্গিটি প্রথমার্ধের মতোই উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহায়ক থাকবে।'
'তবে অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি রোধের জন্য অপচয়ী অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংক ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করার দিকে তীক্ষè নজর রাখা হবে।'
News Source: BDNews24
রোববার দুপুরে জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে গিয়ে গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ আশঙ্কার কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ মুদ্রানীতি হবে সঙ্কুলানমুখী।
রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, "গত অর্থবছর সারা বিশ্বেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈরি আবহাওয়ার কারণে খাদ্যমূল্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অন্যদিকে বিকাশমান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার আশাতীত হওয়ার কারণে জ্বালানি ও খাদ্য বহির্ভূত শিল্পপণ্যের মূল্যও বাড়ন্ত। এই প্রেক্ষাপটে ১২ মাসের মূল্যস্ফীতি অর্থবছরের দ্বিতীয়র্ধে এসে খুব দ্রুত হারে কমবে বলে মনে হয় না।"
"তাই সরকারের বাজেটে প্রত্যাশিত গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্রায় নেমে আসার সম্ভাবনা কম। বরং এই হার জুন এর দিকে ৭ শতাংশের আশেপাশে রয়ে যাবে বলে আশঙ্কা হয়," যোগ করেন তিনি।
গভর্নর জানান, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রিজার্ভ মানি, ব্রড মানি ও অ্যভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল এবারও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গত মুদ্রানীতিতে রিজার্ভ মানির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষমাত্রা ধরেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে গত নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভ মানিতে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ব্রড মানির ক্ষেত্রে ২২ দশমিক ২ শতাংশ এবং আভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা এই মুদ্রানীতিকে 'সঙ্কুলানমুখী' (অ্যাকোমোডেটিভ) অভিহিত করে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনমতো মুদ্রার জোগান দিয়ে যাবে।"
নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়, 'চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে মুদ্রানীতির ভঙ্গিটি প্রথমার্ধের মতোই উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহায়ক থাকবে।'
'তবে অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি রোধের জন্য অপচয়ী অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংক ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করার দিকে তীক্ষè নজর রাখা হবে।'
No comments:
Post a Comment