Stock News 24

Fresh from BPL T20 Cricket

Tuesday, 12 October 2010

মূল্য সংশোধন হতে গিয়েও ঘুরে দাঁড়াল বাজার

News Source: http://bit.ly/cMFJWy

শেয়ারবাজারে কোনো সতর্কবাণীই কাজে আসছে না। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ গত শনিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করার পরের দিন বাজার কিছুটা মূল্য সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু সেই ইঙ্গিতকে ভুল প্রমাণ করে গতকাল সোমবার আবারও ঊর্ধ্বগতির ধারায় ফিরে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ৩৯৬ পয়েন্ট হয়েছে। এর আগের দিন ১৮৭ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ২৯২ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। 
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৫১২ পয়েন্টে পৌঁছেছে। 
তবে সূচক বাড়লেও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা কম। আর সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা। এই স্টক এক্সচেঞ্জটিতে আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৬১ কোটি টাকা। 
আর বাজারের এ আচরণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। সংস্থাটি মনে করেছিল, ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া তাদের উদ্যোগ আপিল বিভাগ বহাল রাখায় বাজারে কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া ডিএসই ও সিএসইর নেতাদের উদ্বেগ বিনিয়োগকারীদের ওপর ছাপ ফেলবে। কিন্তু বাজারে সে ধরনের কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। 
এসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজার যদি এভাবে আচরণ করতে থাকে, তাহলে এসইসির আরও কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। কারণ, বাজারকে এ রকম অযৌক্তিকভাবে বাড়তে দেওয়ার মানেই হলো নতুন নতুন বিনিয়োগকারীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর আমরা কয়েক দিন বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই মুহূর্তে বাজার নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো। বাজারে যে পরিমাণ তারল্যপ্রবাহ রয়েছে, তাতে অন্য কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা খুব একটা কাজে আসবে না, বরং বাজারকে আরও বেশি অস্থিতিশীল করে তুলবে।
এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা ধারণা জন্মেছে, এসইসি যে সিদ্ধান্তই নিক তাতে বড় জোর এক দিন বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হবে। এরপর বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। গতকালের বাজারেরও এই ভাবনার প্রভাব রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। 
বাজার পরিস্থিতি: দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল সকাল থেকেই মূল্যসূচক বাড়তে শুরু করে। লেনদেন শুরুর প্রথম ৪০ মিনিটেই ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৮০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে যায়। এরপর সূচক সামান্য কমলেও শেষ পর্যন্ত তা ঊর্ধ্বগতির ধারায় ফিরে আসে। 
গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জে খাত নির্বিশেষে প্রায় সব ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে বিমা, অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দিকে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক ছিল সবচেয়ে বেশি। ব্যাংকিং খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা। 
ডিএসইতে গতকাল ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৯টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দর। 
অন্যদিকে সিএসইতে ১৮৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ৫৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ছয়টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

No comments:

Latest from BPL ground