এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, রিটার্ন আর্নিং ব্যাংকের ডিপোজিটের আওতায় আনা হলে ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট বাড়বে। এতে বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। শিল্পের পাশাপাশি ক্যাপিটাল মার্কেটে (শেয়ারবাজারে) ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, তবে সংশিস্নষ্ট বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলোর ব্যাল্যান্সশীটে গ্রাহকের ডিপোজিট, রিটার্ন আর্নিং, ব্যাংকে এবং অন্যান্য খাতে কি পরিমাণ অর্থ রয়েছে তার যথাযথ উলেস্নখ করতে হবে।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ তারল্য সঙ্কট চলে আসছিল। এ সঙ্কটের কারণে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ বিতরণ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নামে মাত্র দু'একটি খাত ছাড়া অন্য কোন খাতেই ঋণ বিতরণ করতে পারছিল না ব্যাংক। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ ও আমানত হার (সিডিআর) নির্দিষ্ট মাত্রায় নামিয়ে আনার লৰ্যে উচ্চ সুদে (১২ থেকে ১৭) শতাংশ হারে ডিপোজিট সংগ্রহ করছিল। এতে শিল্প, ব্যবসা, ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত, এলসি (ঋণপত্র) খোলার পাশাপাশি সংশিস্নষ্ট সব বিষয়ে ব্যাপক সঙ্কট সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে দেশের বৃহত্তর পুঁজিবাজারেও এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তারল্য সঙ্কট মোকাবেলা করতে ব্যাংকগুলো তাদের হাতে থাকা শেয়ারগুলো বিক্রি করে দিয়ে সিডিআর সমন্বয় করতে থাকে। এতে বাজারে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে কলমানি থেকে উচ্চ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ ধার নিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা করে। এসব কারণে দেশের ব্যাংকিং বা আর্থিক খাতে একটি বড় ধরনের সঙ্কট চলছিল। এসব বিষয় সমাধানে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিকবার তাদের নির্দেশনায় শৈথিল্য এনেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন (বিএবি), ব্যাংকগুলোর এমডিদের সংগঠন (এবিবি), সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ডিএসই এবং সিএসইসহ সংশিস্নষ্ট সব রেগুলেটরি বডি আর্থিক খাতের বিদ্যমান সঙ্কট মেটাতে দফায় দফায় সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বিএবির প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা রোধ করতে অন্যতম উপায় হিসেবে ব্যাংকগুলোর আমানত গ্রহণের ৰেত্রে সুদের হার (১২ শতাংশ) নির্ধারণ করার প্রতিশ্রম্নতি প্রদান করে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান সঙ্কট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে। এর প্রেৰিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দেশের আর্থিক খাত এবং শেয়ারবাজারকে আরও চাঙ্গা করতে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। একের পর এক বাসত্মবায়িত হচ্ছে।
তারল্য সঙ্কট কাটাতে, ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের উন্নয়ন, ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ঘটানোর ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের অনেক নির্দেশনায় শিথিলতা আনা হয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো, খুব শীঘ্রই ব্যাংকগুলো তাদের রিটার্ন আর্নিং, সংবিধিবদ্ধ লিকিউডিটি রেশিও (এসএলআর), ব্যাংক ডিপোজিট এবং পেইড অব ক্যাপিটাল ডিপোজিট হিসেবে রাখতে পারবে। যেটি এর আগে ছিল সিষ্টেমে। এ সিস্টেমে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা উদ্বিত্ত্্য তারল্য ছিল। কিন্তু এ তারল্য ব্যাংকগুলো ব্যবহার করতে পারত না। কারণ এটি কাগজ-কলমে থাকলেও বাসত্মবে দেখা যেত না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নির্দেশনায় শিথিলতা আনার কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে যে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে সেগুলোও নন ইসলামী ব্যাংক (যাদের ইসলামী ব্যাংকিং শাখা বা উয়িং রয়েছে) তাতে প্রদান করতে পারবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশিস্নষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে। এর ফলে আর্থিক খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পেল।
ব্যাংকিং খাতে আর তারল্য সঙ্কট থাকছে না উলেস্নখ করে বিএবির সভাপতি নজরম্নল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকিং খাতে আর তারল্য সঙ্কট থাকছে না। খুব শীঘ্রই এটি কেটে যাচ্ছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আর্থিক খাতকে বেগবান করার লৰ্যে যুগানত্মকারী পদৰেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সিস্টেমে থাকা প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই একটি সাকর্ুলার জারি করা হবে। যাতে করে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে সিডিআরের হারও কনভেনশনার ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া অনেক বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিথিল করেছে। যার ফলে আর্থিক সঙ্কট কেটে যাবে। সোমবার তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের এসব আশার কথা তুলে ধরেন।
তারল্য সঙ্কট কাটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডেপুটি গবর্নর নজরম্নল হুদা, নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তার, এফবিসিসিআইর পরিচালক নূরম্নল ফজল বুলবুলসহ সিনিয়র ব্যাংকাররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১২ শতাংশের বেশি সুদ গ্রহণ করবে না।
এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগোপযোগী সিদ্ধানত্মের ফলে ব্যাংকিং খাতের তারল্য সঙ্কট থাকবে না। এতদিন সিস্টেমে যে তারল্য ছিল তা এখন বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। এতে দেশের আর্থিক খাত চাঙ্গা হবে। দেশের ব্যাপক আর্থিক পরিবর্তন আসবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ইন্টারব্যাংক ডিপোজিটসহ (ওভারনাইট ডিপোজিট বাদে) সব ডিপোজিট, মূলধন ও প্রভিশন যোগ করে ফান্ডের উৎস ধরা হবে। এতে ফাল্ডের পরিমাণ বাড়বে। এতে করে আগে যে পদ্ধতিতে সিডিআর হিসেব হতো তা করা হবে না। এতে ব্যাংকগুলো রিল্যাঙ্ পাবে। বাজারে তারল্যের ওপর চাপ কমবে। তিনি আরও বলেন, সিডিআর বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই নির্দেশনা প্রদান করা হবে। ফলে তারল্য ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি সিদ্ধানত্মে বিএবি ও এবিবি গভীর সনত্মোষ প্রকাশ করে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব সিদ্ধানত্ম শিথিল করার কারণে সবমিলিয়ে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পেতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব ব্যাংকের ঋণ দেয়ার যোগ্যতা রয়েছে তারা ঋণ প্রদান করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট এবং পেইড অব ক্যাপিটাল এখন বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। এতে বিনিয়োগ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যাংকিং খাতে তারল্যের যোগান অনেকটা বাড়ল। একই সঙ্গে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। ফলে আর্থিক খাতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও আমি মনে করি।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ তারল্য সঙ্কট চলে আসছিল। এ সঙ্কটের কারণে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ বিতরণ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নামে মাত্র দু'একটি খাত ছাড়া অন্য কোন খাতেই ঋণ বিতরণ করতে পারছিল না ব্যাংক। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ ও আমানত হার (সিডিআর) নির্দিষ্ট মাত্রায় নামিয়ে আনার লৰ্যে উচ্চ সুদে (১২ থেকে ১৭) শতাংশ হারে ডিপোজিট সংগ্রহ করছিল। এতে শিল্প, ব্যবসা, ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত, এলসি (ঋণপত্র) খোলার পাশাপাশি সংশিস্নষ্ট সব বিষয়ে ব্যাপক সঙ্কট সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে দেশের বৃহত্তর পুঁজিবাজারেও এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তারল্য সঙ্কট মোকাবেলা করতে ব্যাংকগুলো তাদের হাতে থাকা শেয়ারগুলো বিক্রি করে দিয়ে সিডিআর সমন্বয় করতে থাকে। এতে বাজারে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে কলমানি থেকে উচ্চ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ ধার নিয়ে সঙ্কট মোকাবেলা করে। এসব কারণে দেশের ব্যাংকিং বা আর্থিক খাতে একটি বড় ধরনের সঙ্কট চলছিল। এসব বিষয় সমাধানে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিকবার তাদের নির্দেশনায় শৈথিল্য এনেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন (বিএবি), ব্যাংকগুলোর এমডিদের সংগঠন (এবিবি), সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ডিএসই এবং সিএসইসহ সংশিস্নষ্ট সব রেগুলেটরি বডি আর্থিক খাতের বিদ্যমান সঙ্কট মেটাতে দফায় দফায় সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বিএবির প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা রোধ করতে অন্যতম উপায় হিসেবে ব্যাংকগুলোর আমানত গ্রহণের ৰেত্রে সুদের হার (১২ শতাংশ) নির্ধারণ করার প্রতিশ্রম্নতি প্রদান করে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান সঙ্কট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে। এর প্রেৰিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দেশের আর্থিক খাত এবং শেয়ারবাজারকে আরও চাঙ্গা করতে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। একের পর এক বাসত্মবায়িত হচ্ছে।
তারল্য সঙ্কট কাটাতে, ব্যাংকের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের উন্নয়ন, ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ঘটানোর ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের অনেক নির্দেশনায় শিথিলতা আনা হয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো, খুব শীঘ্রই ব্যাংকগুলো তাদের রিটার্ন আর্নিং, সংবিধিবদ্ধ লিকিউডিটি রেশিও (এসএলআর), ব্যাংক ডিপোজিট এবং পেইড অব ক্যাপিটাল ডিপোজিট হিসেবে রাখতে পারবে। যেটি এর আগে ছিল সিষ্টেমে। এ সিস্টেমে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা উদ্বিত্ত্্য তারল্য ছিল। কিন্তু এ তারল্য ব্যাংকগুলো ব্যবহার করতে পারত না। কারণ এটি কাগজ-কলমে থাকলেও বাসত্মবে দেখা যেত না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নির্দেশনায় শিথিলতা আনার কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে যে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে সেগুলোও নন ইসলামী ব্যাংক (যাদের ইসলামী ব্যাংকিং শাখা বা উয়িং রয়েছে) তাতে প্রদান করতে পারবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশিস্নষ্টদের আহ্বান জানিয়েছে। এর ফলে আর্থিক খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পেল।
ব্যাংকিং খাতে আর তারল্য সঙ্কট থাকছে না উলেস্নখ করে বিএবির সভাপতি নজরম্নল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকিং খাতে আর তারল্য সঙ্কট থাকছে না। খুব শীঘ্রই এটি কেটে যাচ্ছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আর্থিক খাতকে বেগবান করার লৰ্যে যুগানত্মকারী পদৰেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সিস্টেমে থাকা প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই একটি সাকর্ুলার জারি করা হবে। যাতে করে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে সিডিআরের হারও কনভেনশনার ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া অনেক বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিথিল করেছে। যার ফলে আর্থিক সঙ্কট কেটে যাবে। সোমবার তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের এসব আশার কথা তুলে ধরেন।
তারল্য সঙ্কট কাটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডেপুটি গবর্নর নজরম্নল হুদা, নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তার, এফবিসিসিআইর পরিচালক নূরম্নল ফজল বুলবুলসহ সিনিয়র ব্যাংকাররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১২ শতাংশের বেশি সুদ গ্রহণ করবে না।
এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগোপযোগী সিদ্ধানত্মের ফলে ব্যাংকিং খাতের তারল্য সঙ্কট থাকবে না। এতদিন সিস্টেমে যে তারল্য ছিল তা এখন বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। এতে দেশের আর্থিক খাত চাঙ্গা হবে। দেশের ব্যাপক আর্থিক পরিবর্তন আসবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ইন্টারব্যাংক ডিপোজিটসহ (ওভারনাইট ডিপোজিট বাদে) সব ডিপোজিট, মূলধন ও প্রভিশন যোগ করে ফান্ডের উৎস ধরা হবে। এতে ফাল্ডের পরিমাণ বাড়বে। এতে করে আগে যে পদ্ধতিতে সিডিআর হিসেব হতো তা করা হবে না। এতে ব্যাংকগুলো রিল্যাঙ্ পাবে। বাজারে তারল্যের ওপর চাপ কমবে। তিনি আরও বলেন, সিডিআর বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই নির্দেশনা প্রদান করা হবে। ফলে তারল্য ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি সিদ্ধানত্মে বিএবি ও এবিবি গভীর সনত্মোষ প্রকাশ করে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব সিদ্ধানত্ম শিথিল করার কারণে সবমিলিয়ে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পেতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব ব্যাংকের ঋণ দেয়ার যোগ্যতা রয়েছে তারা ঋণ প্রদান করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট এবং পেইড অব ক্যাপিটাল এখন বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। এতে বিনিয়োগ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যাংকিং খাতে তারল্যের যোগান অনেকটা বাড়ল। একই সঙ্গে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। ফলে আর্থিক খাতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও আমি মনে করি।
News Source:
No comments:
Post a Comment