বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে রবিবারের বিপর্যয় কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম এঙ্চেঞ্জ (সিএসই)। তবে শেয়ারের লেনদেন ও টাকার পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কম হয়েছে। শেয়ার কেনাবেচায়ও বিনিয়োগকারীদের ছিল সাবধানি দৃষ্টি। যে কারণে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। এদিকে গত শনিবার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় ডিএসই ও সিএসইর যৌথ সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে গতকালও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নতুন বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে আসতে নিষেধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, 'বাজার পরিস্থিতি খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করতেই পারে। তাই বলে নতুন বিনিয়োগকারীদের আপাতত বাজারে আসতে বারণ করা ঠিক হয়নি। এতে শেয়ারবাজার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা আসবে। এ কারণে রবিবার এক দিনেই যে হারে শেয়ারের দরপতন হয়েছে তাতে আজকের সামান্য দরবৃদ্ধিতেও সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।' তিনি বলেন, 'যেকোনো শেয়ারের যখন অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি শুরু হয় তখন এসইসি থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার আসার পরই তাঁরা এমন ব্যবস্থা নেন।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সিকিউরিটি হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'বুকবিল্ডিং পদ্ধতিরও সংস্কার হওয়ার দরকার। এই পদ্ধতিতে কোনো একটি কম্পানির দর নির্ধারণের পর তা সরাসরি পুঁজিবাজারে না এনে আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে দেওয়া উচিত।'
এ ব্যাপারে সিএসইর প্রধান নির্বাহী ড. আবদুল্লাহ মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বাজার পরিস্থিতির উত্থান-পতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শেয়ারের সরবরাহ ও চাহিদা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে।'
এদিকে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি সত্ত্বেও গতকাল সিএসইতে ১৫৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অথচ রবিবার সিএসইতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেও ২১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। গতকাল ৩৮ হাজার ১৯০ বারে শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার কম। সার্বিক মূল্যসূচকও গতকাল ১৭৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সিএসই সূচক বেড়েছে এক দশমিক ২৮ শতাংশ। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ১৮৫টি কম্পানির মধ্যে ১২০টির দর বৃদ্ধি পেয়েছে, দরপতনের তালিকায় ছিল ৫৯টি।
No comments:
Post a Comment