Stock News 24

Fresh from BPL T20 Cricket

Friday, 4 February 2011

সিডিবিএলের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন লেনদেন নিষ্পত্তিতে জটিলতা

ইলেকট্রনিক শেয়ার সংরক্ষণকারী একমাত্র কম্পানি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বুধবার এবং গতকাল বৃহস্পতিবার শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তিতে (সেটেলমেন্ট) বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। রাজধানীর পল্টন এলাকায় ঝুলন্ত তার অপসারণ কার্যক্রম চলাকালে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে এ সমস্যা দূর করার আগেই বৃহস্পতিবার সিডিবিএলের রাজধানীর তোপখানায় অবস্থিত মূল সংরক্ষণাগারে (ডিজাস্টার রিকভারি) সমস্যা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দুপুর ২টার দিকে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। দুদিনের এ ঘটনায় শেয়ারবাজারে কারসাজির তথ্য ধ্বংস করে ফেলার আশঙ্কা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
স্বাভাবিক অবস্থায় শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হওয়ার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিষ্পত্তি করা হতো। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় বুধবার টেলিফোন ডায়াল আপ লাইনের মাধ্যমে কিছু কিছু ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন নিষ্পত্তি সম্ভব হয়। কিন্তু অধিকাংশ হাউসই এ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির কাজ শেষ করতে পারেনি। একপর্যায়ে দুই শতাধিক ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিকে তাদের প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নিয়ে সরাসরি সিডিবিএলে আসতে হয়। ওইদিন রাত ৮টায় সিডিবিএলের একটি সংযোগ টেলনেট চালু হয়। বুধবার রাত ১১টায় সবকটি (চারটি) সংযোগ চালু হয়। কিন্তু গতকাল সকালে আবারও সংযোগগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় সিডিবিএলের মূল সংরক্ষণাগারেও (ডিজাস্টার রিকভারি) সমস্যা সৃষ্টি হয়। অবশ্য দুপুর ২টার দিকে টেলিনেটের সংযোগ পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়। এ সময়ের মধ্যে মূল সংরক্ষণাগারের সমস্যাও সমাধান করা হয়। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাকি থাকা তিনটি ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়নি। বর্তমানে শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ কম হওয়ায় লেনদেন নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানের আগেই লেনদেন বৃদ্ধি পেলে লেনদেন নিষ্পত্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে দেশের শেয়ারবাজার বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে খোদ সিডিবিএল কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
এ বিষয়ে সিডিবিএলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শুভ্র কান্তি চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে লেনদেন নিষ্পত্তিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কম হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। অবশ্য আগামী দুদিন (শুক্র ও শনিবার) লেনদেন বন্ধ থাকায় বড় কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। এরই মধ্যে ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে ইন্টারনেট সমস্যার সুযোগ নিয়ে প্রযুক্তিগত বিপর্যয় ঘটিয়ে কারসাজির প্রমাণ ধ্বংস করা হতে পারে অনেকে আশঙ্কা করছেন। শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যাপকভাবে আলোচিত একাধিক ব্যক্তি সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ায় তাঁদের পক্ষে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটনো অসম্ভব নয় বলে কোনো কোনো বাজারবিশ্লেষকরাও মনে করছেন। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিকল্প পন্থায় লেনদেন নিষ্পত্তি করতে গিয়ে সিডিবিএলের তথ্যভাণ্ডার বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছেন তথ্য-প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন হাউস থেকে নিয়ে আসা কম্পিউটারের কোনো একটিতে ক্ষতিকর ভাইরাস থাকলে তা সিডিবিএলে সংরক্ষিত তথ্য ধ্বংস করে দিতে পারে। এতে শেয়ারবাজারে কারসাজির প্রমাণ ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সব তথ্য নষ্ট হয়ে বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
তবে এ ধরনের আশঙ্কাকে সম্পূর্ণ অমূলক আখ্যায়িত করে সিডিবিএলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শুভ্র কান্তি চৌধুরী বলেন, 'সিডিবিএলে সংরক্ষিত কোনো তথ্য কারো পক্ষে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ গুজবের ওপর ভিত্তি করে কেউ কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন।

News Source: Link

No comments:

Latest from BPL ground