শেয়ারবাজারে
বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ করুন।' 'গুজব, কানকথা বা কোনো
মহলের মন্তব্যের ওপর ভর করে নয়, কম্পানির আর্থিক ভিত্তি দেখে বিনিয়োগের
সিদ্ধান্ত নিন।' বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এ রকম নানা আপ্তবাক্য
লেখা থাকে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের ওয়েবসাইটে। অথচ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক
এঙ্চেঞ্জ কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার প্রমাণ করল, তারা নিজেরাই কতখানি
বিভ্রান্ত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে লেনদেনে বিধিনিষেধের
খবরে বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে_এ
আশঙ্কায় গতকাল লেনদেন শুরুই করেনি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের
(ডিএসই) পরিচালনা পরিষদ। চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ প্রতিদিনের মতো গতকাল
লেনদেন শুরু করলেও ডিএসইর সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করে মাত্র এক মিনিট ৫৭
সেকেন্ড পর লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে। পরে সংক্ষিপ্ত এ লেনদেন বাতিল করা হয়।
নিজেদের উদ্যোগে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করার নজির এই প্রথম। এক
এঙ্চেঞ্জের সার্ভার চালু করা, অন্যটি বন্ধ রাখা_এটিও সমন্বয়হীনতার বড় নজির।
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে আজ (বুধবার) থেকে শেয়ারবাজারে
যথারীতি লেনদেন চলবে বলে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২০ জানুয়ারি মাত্র পাঁচ মিনিটে মধ্যে ডিএসইতে সূচকের ৬০০
পয়েন্ট পতন হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির নির্দেশে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের
লেনদেন বন্ধ থাকে। পরে অব্যাহত দরপতনের কারণে ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি এসইসির
নির্দেশে লেনদেন বন্ধ থাকে শেয়ারবাজারে। এরপর অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে
অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ২৫ জানুয়ারি থেকে লেনদেন চালু করা হয়েছিল।
বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত আয় শেয়ারবাজারে বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগ করার
সুযোগ অব্যাহত আছে_এ কথাটি বাজেট ঘোষণার পর থেকে অন্তত চারবার ব্যাখ্যা
দিতে হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। সর্বশেষ ব্যাখ্যাটি এসেছে গত
রবিবার। এ প্রজ্ঞাপনটি নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। ৩৩ বছর আগে প্রণীত
আইনেই সরকারি চাকুরেদের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। সোমবার সেই
আইনটি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখনো প্রজ্ঞাপনও জারি হয়নি।
তবু এর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় লেনদেনই বন্ধ রেখেছে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জ।
শেয়ারবাজার পরিচালনাকারীরা নিজেরাই যদি বিভ্রান্ত থাকে তাহলে
বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তি কে দূর করবে_তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গতকাল। দেশের
প্রচলিত পুরনো দুটি আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় যদি শেয়ারবাজারে ভয়াবহ
ধসের আশঙ্কা থাকে তাহলে সেই বাজারের মৌলিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ
কেউ। এ ছাড়া দেশের শেয়ারবাজার যে অতিমাত্রায় গুজবনির্ভর তা লেনদেন বন্ধ
থাকায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে। লেনদেন বন্ধ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন
উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বাজারকে এর নিজস্ব গতিতেই চলতে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন
কেউ কেউ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ
কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে
বলেন, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কিছু করা হয়নি। এর পরও তাঁরা
হয়তো আতঙ্কিত হয়েছেন।
লেনদেন বন্ধ রাখার বিষয়ে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা
আতঙ্কিত হওয়ায় ডিএসই, সিএসই হয়তো মনে করছে লেনদেন বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
বাজারের স্বার্থে তারা এটা করতে পারে। সোমবারের রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে
বাজার অতিরিক্ত পড়ে গিয়েছিল_তা দেখেই হয়তো লেনদেন বন্ধ রাখা হয়ে থাকতে পারে
বলে মন্তব্য করেন তিনি। মির্জ্জা আজিজ বলেন, 'তবে আমাদের ভেবে দেখতে হবে,
আসলেই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়েছে কি না।'
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো খোন্দকার গোলাম
মোয়াজ্জেম বলেন, এই শেয়ারবাজারে বড় রকমের ঘাটতি রয়েছে। এই বাজার অতিমাত্রায়
গুজবনির্ভর।
সরকার তার পুরনো দুটি আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে গোলাম
মোয়াজ্জেম বলেন, এতে কিছু সময় দেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন এ বিষয়ে স্বচ্ছতারও।
হঠাৎ করে বাস্তবায়ন করতে গেলে বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ আইনে ফাঁকি
দিয়ে এরই মধ্যে অনেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে না জানিয়ে গতকাল তড়িঘড়ি করে লেনদেন বন্ধ রাখার
সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ।
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন বন্ধ রাখা হলো_ওয়েবসাইটে শুধু
এ ঘোষণাটি দেওয়া আছে। সিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, উদ্ভূত বিশেষ
পরিস্থিতিতে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। লেনদেন বন্ধের খবরে দুই পুঁজিবাজারের
সামনেই বিক্ষোভ করে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলো। আর হঠাৎ করে নেওয়া লেনদেন
বন্ধের এ সিদ্ধান্তকে জায়েজ করার জন্য দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মকর্তারা
ছোটাছুটি শুরু করেন সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের কার্যালয়ে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে তাঁরা ব্যর্থ হন। নিয়ন্ত্রক
সংস্থা এসইসিরও কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
১২টায় ডিএসইর কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, 'সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (সামরিক ও বেসামরিক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে অস্পষ্টতা প্রতীয়মান হয়েছে। ডিএসই
কর্তৃপক্ষ মনে করে, এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে
পারে এবং পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ১৭ জানুয়ারি লেনদেন বন্ধ রাখা
হয়েছে।'
এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি বৈঠকে লেনদেন
বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুর ১২টায় এক পৃষ্ঠার লিখিত
বক্তব্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
ডিএসইর সিইও আরো বলেন, 'ডিএসই বোর্ড মনে করে, দেশের অর্থনীতি তথা
পুঁজিবাজারের স্বার্থে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকা
উচিত।' ডিএসই পরিচালনা পরিষদ গতকালই (মঙ্গলবার) অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে
সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) ঢাকা অফিসে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর সভাপতি আল মারুফ খান বলেন, ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ
কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ায় চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ কর্তৃপক্ষও
লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধের আগে এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ড লেনদেন সম্পন্ন
হয়েছে। পরে ওই এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের লেনদেন বাতিল করা হয়। দুপুর দেড়টায়
এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা শেষে লেনদেন বাতিলের কথা সাংবাদিকদের জানান
সিএসইর সভাপতি। তিনি বলেন, 'গত দুই দিনের দুটি সিদ্ধান্তে বাজারে
বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কায় আমরা লেনদেন বন্ধ রেখেছি।' বিনিয়োগকারীদের
বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে নিজেদের সংবাদ সম্মেলন শেষে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের পরিচালনা পরিষদ
পৃথকভাবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে
দেখা করেন। বৈঠক শেষে সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান বলেন, 'উদ্ভূত
পরিস্থিতিতে লেনদেন বন্ধের ব্যাপারে এসইসির চেয়ারম্যান একমত হয়েছেন।' আল
মারুফ খান আরো জানান, 'উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা মাননীয়
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছি। সিএসই সভাপতি আরো বলেন,
'পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে আমরা আগামীকাল (আজ) থেকেই আবার লেনদেন চালু করব।'
বৈঠক প্রসঙ্গে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসইসির
চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসইসির
চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দিন অথবা রাতের যেকোনো সময় সাক্ষাৎ করে আবার
লেনদেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আশা করি এ ব্যাপারে ইতিবাচক
সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা লেনদেন চালুর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।'
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানায়নি এসইসি কর্তৃপক্ষ। সার্বিক
পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে সাংবাদিকরা এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েক দফা
সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। গতকাল দুপুরে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা
মো. আলম জানান, 'উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো
কথা বলবেন না।'
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ আয়কর আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করার পর এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন,
'পুঁজিবাজার এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, এটা আমরা অনেকেই জানি। সরকারি দায়িত্ব
পালনের অবস্থানে থেকে এ ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করা সমীচীন নয়।'
সরকারি চাকরির আচরণবিধি ১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য
কোনো লাভজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন না। তবে আইনের প্রয়োগ না থাকায় এত
দিন পুঁজিবাজারে সরকারি চাকুরেরা বিনিয়োগ করে আসছিলেন। সোমবার মন্ত্রিসভার
বৈঠকে শিথিল এ আইনটি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে শিগগির জন
প্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির কথাও বলা হয়।
এদিকে সকালে লেনদেন বন্ধের খবরে দুই পুঁজিবাজারের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন
বিনিয়োগকারীরা। সকাল ১১টার দিকে বিনিয়োগকারীরা রাজধানীর ডিএসই ভবনের
সামনের রাস্তায় অবস্থান নিলে শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে
যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিনিয়োগকারীরা শাপলা চত্বরের সামনে গোল হয়ে
অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ
অব্যাহত থাকে। বিনিয়োগকারীরা সোমবার মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত
প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের আন্তর্জাতিকবিষয়ক
সম্পাদক আতাউল্লাহ নাইম বলেন, গতকাল মন্ত্রিপরিষদে পুঁজিবাজার বিষয়ে নেওয়া
সিদ্ধান্ত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। অন্যথায়
অনির্দিষ্টকালের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ চলাকালে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক
মোড় পর্যন্ত সড়কে সকাল ১১টা থেকে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে আশপাশের সড়কে
চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যেকোনো ধরনের
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
News Source: Kalerkonto
Stock News 24
Fresh from BPL T20 Cricket
Wednesday, 18 January 2012
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment