Stock News 24

Fresh from BPL T20 Cricket

Tuesday 12 October 2010

মার্জিন ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়লে সমাধান দেবে এসইসি

News Source: http://bit.ly/9J9mLp

সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের আদেশে মার্জিন ঋণ ও ফোর্স সেল সম্পর্কে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্দেশনা পুনর্বহাল হলেও ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা নিয়ে বিনিয়োগকারী ও সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এর আগে ঋণ সমন্বয়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হলেও আইনী জটিলতার মধ্যেই পার হয়ে গেল ওই সময়সীমা। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পর তাৎৰণিকভাবে মার্জিন ঋণ হিসাবে এনএভি পদ্ধতি কার্যকর করা হলেও পুরনো ঋণ সমন্বয়ের জন্য নতুন কোন সময়সীমা দেয়নি এসইসি। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে সংশিস্নষ্টদের মধ্যে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। তবে সমন্বয়ের বিষয়টি আপাতত ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর ছেড়ে দিয়েছে এসইসি। এ নিয়ে কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি হলে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের পৰ থেকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় সমাধান দেয়া হবে বলে এসইসি সূত্রে জানা গেছে। 
এ বিষয়ে এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারম্নল কবীর ভুঁইয়া বলেন, আপীল বিভাগের আদেশের পর মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো এসইসির আগের নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারের বাজার মূল্য ও এনএভির যোগফলের অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন ঋণ প্রদান করতে হবে। ইতোমধ্যেই ডিএসইর পৰ থেকে মার্জিন ঋণের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ওই তালিকার ভিত্তিতে ঋণ দেবে। আর অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যেই এসইসি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো নিজেদের মতো করে সমন্বয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে কমিশন আশা করছে। এৰেত্রে কোন রকম সমস্যা তৈরি হলে তারা কমিশনকে জানালে অবশ্যই সে বিষয়ে সমাধান দেয়া হবে। 
এদিকে এনএভি ও বাজার মূল্যের গড়ের অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যেই ঋণের হার পুনর্নির্ধারণ করেছে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো। অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের ঋণের হার পুনর্নির্ধারণ করে ১:০.৬ বা এর কাছাকাছি নামিয়ে এনেছে। কোন শেয়ারের এনএভি শূন্য হলেও বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ওই শেয়ারের ঋণের হার ০.৫-এর কম হবে না_ এই বিবেচনায় সব শেয়ারের ৰেত্রেই এই হারে ঋণসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ঋণ নিয়ে কোন জটিলতা সৃষ্টি হবে না বলে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা মনে করছেন। অন্যদিকে ঋণের হার ০.৫ বা ০.৬ নির্ধারণের পর যেসব গ্রাহকের হিসাবে আগে নেয়া অতিরিক্ত ঋণ রয়েছে_ শেয়ার বিক্রির পর স্বাভাবিকভাবেই তাদের ঋণ সমন্বয় হচ্ছে। এর ফলে অধিকাংশ ৰেত্রেই ঋণ সমন্বয়ের জন্য ফোর্সসেলের প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্টরা। 
উলেস্নখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর এনএভিভিত্তিক হিসাব পদ্ধতি কার্যকরের জন্য এসইসির জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মূল কার্যক্রমের সঙ্গে সংশিস্নষ্ট বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হিসাব করবে। এৰেত্রে সংশিস্নষ্ট কোম্পানি বা মিউচু্যয়াল ফান্ডের সর্বশেষ ঘোষিত আর্থিক বিবরণীতে উলিস্নখিত এনএভির ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা হবে। প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর ওয়েবসাইটে এই তালিকা হুবহু প্রকাশ করা হবে। এই তালিকার ভিত্তিতেই ডিএসই ও সিএসইর আওতাধীন ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে গ্রাহকদের জন্য মার্জিন ঋণের পরিমাণ হিসাব করবে। 
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ডিএসই নির্ধারিত মার্জিন হিসাব করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস প্রয়োজনে সংশিস্নষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে বলবে (মার্জিন কল)। এসইসির নির্দেশনা মোতাবেক ডিএসই প্রথম দফা জটিলতা এড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় ২৪ সেপ্টেম্বর এনএভির ভিত্তিতে ঋণযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও প্রাপ্য ঋণের হিসাব প্রকাশ করে। আর এ নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে দুই বিনিয়োগকারী রিট দায়ের করলে তিন মাসের জন্য তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে এসইসির লিভ টু আপীলের ভিত্তিতে গত রবিবার হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। এসইসির আগের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চেন্ট ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে এনএভির ভিত্তিতে মার্জিন ঋণ দিতে হবে। আপীল বিভাগের আদেশের পর ওইদিনই ঋণযোগ্য ১০০টি কোম্পানি ও ২৪টি মিউচু্যয়াল ফান্ডের প্রাপ্য ঋণের তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএসই

No comments:

Latest from BPL ground